Skip to main content
 

বিচার বিভাগ, নারায়ণগঞ্জ

জেলা ও দায়রা জজ আদালত

নারায়ণগঞ্জ

 

নারায়ণগঞ্জ নামকরণের পূর্বে সোনারগাঁ ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী। মুসলিম আমলের সোনারগাঁ নামের উদ্ভব প্রাচীন সুবর্ণগ্রামকে কেন্দ্র করেই। বহু অঞ্চলে মুসলিম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ঢাকা নগরের অভ্যুদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল সোনারগাঁ।

 

জেলা পরিচিতি :

 

প্রশাসন নারায়ণগঞ্জ মহকুমা গঠিত হয় ১৮৮২ সালে এবং মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা সর্ববৃহৎ (১৮৩.৩৫ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট উপজেলা বন্দর (৫৫.৮৪ বর্গ কিমি)। নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন গঠন করা হয় ২ মার্চ ২০১১।

 

দর্শনীয় স্থান: 

 

সোনারগাঁও লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন ও যাদুঘর, পানাম নগর, রূপগঞ্জের রাসেল পার্ক ও চিড়িয়াখানা, মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি ও জিন্দা পার্ক, ফতুল্লায় মেরী এন্ডারসন ভাসমান রেস্তোরাঁ, হাজিগঞ্জের ঈশা খাঁর কেল্লা, সোনাকান্দা দুর্গ, নারায়ণগঞ্জ সদরের বিবি মরিয়মের মাযার ও মসজিদ। 

আদালত প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম :

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৪ সালের ২৯ আগস্ট। এর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিচার কাজ পরিচালিত হতো ঢাকা জেলার  একটি মহকুমা হিসেবে। তদানিন্তন নারায়ণগঞ্জ মহকুমার মোট উপজেলা ছিল ৫ টি, যথা : আড়াইহাজার, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ সদর, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও। নারায়ণগঞ্জ জেলায় সর্বপ্রথম বিচার কার্যক্রম শুরু হয় কালিবাজার এলাকায় অবস্থিত পুরাতন কোর্ট ভবনে। তৎকালীন সময়ে উক্ত কোর্ট ভবনে ১ টি জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১ টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১ টি সাব-জজ আদলত, ২ টি মুন্সেফ আদালত ও পূর্বের ৫ টি উপজেলা আদালত নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ আদালত চানমারী এলাকায় নির্মিত নতুন জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে স্থানান্তর করা হয়।

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ এর মাধ্যমে ২০০৭ সালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যাত্রা শুরু হয়।

১০ টি আদালত নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিচার বিভাগের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সর্বমোট ২৮ টি আদালত এর কার্যক্রম চালু আছে, যথাক্রমে : ১ টি জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১ টি শ্রম আদালত, ১ টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত, ৪ টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ৪ টি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জজ আদালত, ৪ টি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত , ২ টি সহকারী জজ আদালত এবং ১ টি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ১ টি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৪ টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৫ টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত । পাশাপাশি, দ্রুত বিচার আদালত, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত,স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও বন আদালত  এর কার্যক্রম চালু রয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন জনাব মোঃ ইব্রাহীম আলী। বর্তমানে ১৯তম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে জনাব মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ২৩ অক্টোবর ২০২২ সালে।

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ এর পর প্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ রফিকুল আলম। বর্তমানে ৭ম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জনাব ফারহানা ফেরদৌস দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ০১ জুন ২০২০ সালে

বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বেশ কয়েকট উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য আদালতের রেকর্ডরুম সংস্কার, নকল খানার কার্যক্রমের সরাসরি মনিটরিং, জরুরী প্রসেস নিষ্পত্তির জন্য সাক্ষী বক্স স্থাপন, জায়ান্ট স্ক্রিনে এজলাস চলাকালীন তাৎক্ষণিক দৈনন্দিন মামলার ফলাফল ও তারিখ প্রদর্শন ।

 

সাধারণ অসহায় বিচারপ্রার্থীর আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আদালত ভবনে অবস্থিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। ২০২২ সালে সর্বমোট ৪৫১ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয় যার মধ্যে ১৩৩ জন নারী ও ৩১৮ জন পুরুষ এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ৪২০ টি আবেদন প্রাপ্ত হয়ে ১২১ টি সফলভাবে নিষ্পত্তি করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থপক্ষকে ৬৬,২৪,৫০০/-  (ছেষট্টি লক্ষ চব্বিশ হাজার পাচঁশত) টাকা আদায় করে দেওয়া হয়।